সাগরে বিধ্বস্ত বিমানের খোঁজ মিলেছে, পাইলট নিখোঁজ
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। তবে পাইলটের কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি।
আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে অনুসন্ধানকারী দলের সদস্যরা বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত বিমানের দুটি অংশের (পাখার) সন্ধান পাওয়া যায় বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দুরুল হুদা। তিনি জানান, এ দুটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের জাহাজ তৌফিকের কমান্ডার দুরুল হুদা আরো জানান, ‘তবে বিমানটির পাইলট এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পরপরই নৌবাহিনীর অতন্দ্র, সুরভী ও মধুমতি নামে তিনটি জাহাজ উদ্ধারকাজ শুরু করে। এর সঙ্গে কোস্টগার্ডের তৌফিকসহ তিনটি মেটাল শার্কবোটও যোগ দিয়েছে।’
সমুদ্রের স্রোত ও জোয়ার-ভাটার হিসাব-নিকাশ করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এখান বিমানের মূল অংশ ও ককপিট উদ্ধারের কাজ চলছে। ককপিট উদ্ধার করা গেলে বিমান দুর্ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দুরুল হুদা।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিমানবাহিনীর জঙ্গিবিমান এফ-৭ বিধ্বস্ত হয়। এতে তাহমিদ নামের এক পাইলট নিখোঁজ হন।
ঘটনার পর পরই নিখোঁজ পাইলটের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার নূরে আলম এনটিভিকে জানান, বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে এটি বিধ্বস্ত হয়।