পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ লামিয়া নূর (২২) পিরোজপুর জেলা শহরের সিএইপাড়ার কালাম শেখের মেয়ে। তিনি পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্রী।
ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম হানজালা হাসান। তিনি ঝিনাইদহ জেলা শহরের খন্দকারপাড়ায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন।
নিহত লামিয়ার চাচা আলম শেখ বলেন, এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের পর হানজালা হাসান ও লামিয়া নূরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য লামিয়ার ওপর নির্যাতন করা হয়।
আলম শেখ অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লামিয়াকে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লামিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে লামিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লামিয়া আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের কনস্টেবল হানজালা হাসানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র মতে, তিনি ঝিনাইদহ জেলা শহরের পবহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।