১৩৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছে কক্সবাজারের ওপর দিয়ে
কক্সবাজারের ওপর দিয়ে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝড়ো হাওয়া। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে পুনঃ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের দূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো আবার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে দূরপাল্লার নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে আজ মঙ্গলবার সকালেও মাইকিং চলছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিমও।
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে ভোর থেকে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ‘মোরা’। এর আগে ভোরে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।
পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় এলাকার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র রাতে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান পরিদর্শন করেছেন।