‘মোরা’য় শান্ত ছিল মোংলা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/05/30/photo-1496146955.jpg)
ঘূর্ণিঝড় মোরার কোনো প্রভাব পড়েনি মোংলা বন্দরে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঝড়টি উপকূলে আঘাত করে। তবে ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোংলাসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকার আকাশ ছিল মেঘমুক্ত রৌদোজ্জল। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে সামান্য গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও এ সময় কোনো ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়নি।
তারপরও দুর্যোগে জানমাল রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। গতকাল সোমবার দিন-রাত মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তবে অধিকাংশ মানুষই বাড়িঘর ফেলে রেখে নিরাপদ আশ্রয়ে যায়নি। মঙ্গলবার সকালে চাঁদপাই ও চিলা ইউনিয়নের দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সারা রাতে একজনও মানুষ আসেনি। চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের মো. ফাইজুল বলেন, ‘সারা রাত চিংড়ি ঘেরেই ছিলাম। আর পরিবারের অন্যরাও বাড়িতে ছিল। জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতাম।’ চিলার মিনা হালদার বলেন, ‘বাড়িতে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে এসব তো চোরে নিয়ে যাবে। তাই রাতে গবাদি পশু পাহারা দিতে হয়েছে, যাতে চুরি কিংবা কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য।’ পরিমল মণ্ডল বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র তো বাড়ির কাছেই, ঝড়-বৃষ্টি বেশি হলে তারপর যাব। গত দুদিনে মোংলাসহ আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক থাকায় সাধারণ লোকজনের মধ্যে মোরার তেমন কোনো আতঙ্ক কাজ করেনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার রাতে পশুর নদীর পাড়ের চিলা ও জয়মনিরঘোলের কাঁচা ঘরবাড়ির বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও মঙ্গলবার ভোরেই তারা আবার বাড়িঘরে ফিরে যায়।’
বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু অ্যান্ড সন্সের মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, ‘মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হলে তার প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত ও প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। কিন্তু সোমবার ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি হলেও আবহাওয়া ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। যার ফলে সাধারণ লোকজনের মধ্যে তেমন কোনো ভীতি কিংবা আতঙ্ক দেখা যায়নি।’