ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তাঁরা হলেন নিষিদ্ধঘোষিত পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা মাইদুল ইসলাম রানা (৫০) ও তাঁর সহযোগী আলিম উদ্দিন (৬০)।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের বহরামপুর গ্রামের নাগরতলা মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল কালাম আজাদ।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি বিদেশি একনালা বন্দুক, ১৫টি গুলি, একটি হাঁসুয়া ও দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব আরো দাবি করেছে, এ সময় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন হাবিলদার মহসিন আলী, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ। কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

র‍্যাব কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বহরামপুর গ্রামের নাগরতলা মাঠে চরমপন্থীরা অবস্থান করছে—এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‍্যাব। তখন জনযুদ্ধের কর্মীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।

একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাইদুল ইসলাম রানা ও আলিম উদ্দিন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক ফারুক হুসাইন তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা জানিয়েছেন, মাইদুল ইসলাম রানা কোটচাঁদপুরের বকশিপুর গ্রামের ফকির চাঁদ মণ্ডলের ছেলে এবং আলিম উদ্দিন উপজেলার বহরমপুর গ্রামের সলেমান মণ্ডলের ছেলে। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।