চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে যুবক খুন!

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ‘চোখে টর্চলাইট মারা’কে কেন্দ্র করে শাহিন মাদবর (২৭) নামের এক ফল ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের চাচাত ভাই জামাল মাদবর, বাবুল মাদবর এবং সংঘর্ষে আহত আকতার মাদবর জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আড়িগাঁও বাজার থেকে কাজকর্ম সেরে স্থানীয় দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামের শ্রমিক আকতার মাদবর বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে শাহজাহান বেপারীর দোকানের কাছে পৌঁছালে তাঁর হাতের টর্চলাইটের আলো পথচারী জামাল বেপারীর চোখে পড়ে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জামাল বেপারী তার আত্মীয়স্বজনকে খবর দেন। খবর পেয়ে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সংবাদ পেয়ে আকতার মাদবরের আত্মীয়স্বজনরাও ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আকতার মাদবরের চাচাত ভাই আড়িগাঁও বাজারের ফল ব্যবসায়ী শাহিন মাদবর (২৮) গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আকতার মাদবর, জলিল মাদবর, বাবুল মাদবর, করিম বেপারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শাহিন মাদবরের স্ত্রী শাহিনুর বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়েদের এতিম করেছে জামাল বেপারী। এখন ওদের ঈদের নতুন জামা কাপড় কে কিনে দেবে? আমি কী করে বাঁচব? আমি জামাল বেপারীর ফাঁসি চাই।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।