রাঙামাটিতে ফের বৃষ্টি, পাহাড় ছাড়তে মাইকিং
পাহাড়ধসে বিধ্বস্ত রাঙামাটিতে আজ রোববার ভোর থেকে আবারও থেমে থেমে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকালের দিকে বৃষ্টিপাতের মাত্রা একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পাহাড়ের মানুষ।
এদিকে, পুনরায় বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় মানুষজন ভিড় করছে আশ্রয়কেন্দ্রে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা যাঁরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি, তাদের আসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই হ্রদেও পানি বাড়ছে। কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ২৭ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙমাটি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নিউটন দাস বলেন, ‘এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অনেক মানুষ আছে, তাদের নিরাপদে সরে আসার জন্য আমরা মাইকিং করছি।’
এদিকে, সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল রাঙামাটি যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তাদের গাড়িবহরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। হামলার শিকার হয়ে তাঁরা আবার চট্টগ্রামে ফিরে গেছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার টানা বর্ষণের কারণে নিমেষেই পাল্টে যায় রাঙামাটির চিত্র। পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে জেলার কাপ্তাই, কাউখালী, বিলাইছড়ি, জুরাছড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত ১১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থমকে গেছে পুরো জেলার জনজীবন।
পাহাড়ধসে শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে সড়ক কিংবা সেতু ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে রাঙামাটি।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে ভয়ংকর মানবিক বিপর্যয়ের পথে এখন রাঙামাটি। একদিকে নিহতদের জন্য স্বজনের হাহাকার, অন্যদিকে বাজারে জিনিসপত্রের কমতি ও চড়া দাম। বাজারে নিত্যপণ্য তেমন নেই।