‘পিটিয়ে হত্যার’ ২৭ দিন পর মামলা নিল পুলিশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/07/01/photo-1498898674.jpg)
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ধন্যরাম রায় (১৬) নামের এক কিশোরকে ‘পিটিয়ে হত্যার’ ২৭ দিন পর ‘চাপের মুখে’ পুলিশ মামলা নিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মামলার প্রধান আসামি শাহজাহান আলীকে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার বিরোলী গ্রামের বাসিন্দা ধন্যরাম রায়ের মা পান্না রাণী রায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এত দিন মামলা না নেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রামবাসী।
এ ঘটনায় দেরিতে মামলা নেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী। তিনি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই গত ২৮ জুন মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পরই প্রধান আসামি শাহজাহান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাহজাহানের ভাই আবুল হোসেন চিহ্নিত জেএমবি সদস্য।’
মামলায় বলা হয়েছে, গত ২ জুন বীজতলা খেয়ে ফেলায় প্রতিবেশী শাহজাহান আলীর একটি গরু নিজ বাড়িতে এনে আটকে রাখেন ধন্যরাম। জানতে পেরে শাহজাহান আলী, আব্দুল জব্বার, আবুল কালাম ও আবুল বাশারসহ কয়েকজন ধন্যরামকে পিটিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই রাতেই তার মৃত্যু হয়।
এর পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করা হলেও পুলিশ সেই মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবারটি দরিদ্র্য ও অসহায়। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অজিৎ কুমার মিশ্র বিরোলী গ্রামে যান এবং পান্না রানী রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সহকারী হাইকমিশনারকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পান্না রানী। অজিৎ কুমার মিশ্র সেখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন এবং ধন্যরাম রায়ের মাকে সান্ত্বনা দেন।
এ ঘটনায় বিরোলী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, পুলিশ এ ঘটনায় নিরপরাধ লোকদের আসামি করার ভয় দেখিয়ে রমরমা ব্যবসা শুরু করে। প্রকৃত আসামিদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। ফলে মামলাটি নথিভুক্ত করতে বিলম্ব হয়।