নিশা-তারানকো বৈঠকে বাংলাদেশ সংকট
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/13/photo-1423806022.jpg)
বাংলাদেশ সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁরা এ বৈঠক করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দুপুরের ব্রিফিংয়ে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর) বৈঠকের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক। তিনি বলেন, বৈঠকে নিশা ও তারানকো বাংলাদেশে সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণের ওপর জোর দিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে ম্যাথু রাসেল লি নামের এক সাংবাদিক ডুজারিককে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে এমন একটি পরিস্থিতি চলছে, যেখানে কোনো সমঝোতা দেখা যাচ্ছে না। কারণ, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের কারণে বিরোধীরা অব্যাহত চাপের মধ্যে রয়েছে। মহাসচিবের কি সেখানে কোনো বিশেষ দূত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি গতকাল (বুধবার) যা বলেছি, আপনি সেই অংশটুকু শুনতে পাননি। সেটা হলো, মহাসচিব একদম এসব বিষয়েই সরকার ও বিরোধী নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করার জন্য শান্তি স্থাপন অফিসের প্রধান অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি (তারানকো) এ কাজই করছেন। এবং মহাসচিব নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা প্রাণহানির ঘটনায় অব্যাহতভাবে নিন্দা জানিয়ে আসছি। আমি মনে করি, এ বিষয়ে মূল বার্তা হলো চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান।'
এরপর মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে সহকারী মহাসচিব তারানকো ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা বিসওয়াল বৈঠক করেছেন। আপনি কি সংক্ষেপে সেই বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে কিছু বলবেন?
জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘না। আমি মনে করি, এটি জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত যোগাযোগের অংশ। এটি একটি চলমান আলোচনা। এ বিষয়ে জানানোর মতো কিছু নেই। আমার ধারণা, আপনি আপনার জবাব পেয়ে গেছেন।’
আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আর একটি বিষয়, প্রধান বিরোধী নেত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, তিনি অবরুদ্ধ। ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ গতকাল, পরশু কোনো খাবার পর্যন্ত সেখানে নিতে দেয়নি। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুকনো খাবার খাচ্ছেন। এই অমানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?’
উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ‘অবশ্যই, এ পরিস্থিতিতে মহাসচিব উদ্বিগ্ন এবং তিনি চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এসব বিষয় সহকারী মহাসচিব তারানকো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।’