জুয়ার টাকা না দেওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে হত্যা!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/08/photo-1436374349.jpg)
শরীয়তপুরে জুয়া খেলার টাকা না দেওয়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষিকাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কামাড্যা গ্রামে নিজ বাড়ির মুরগির খামারের ভেতর থেকে মুখে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝরনা বেগম বিনা (৩০) নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করে গোসাইরহাট থানার পুলিশ। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার স্বামী সেকান্দার শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গোসাইরহাট থানা ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব ডামুড্যা হাওলাদার বাজার দাখিল মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন ঝরনা বেগম। বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় চার লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসার জন্য স্বামীকে দেন তিনি। তবে স্ত্রীর নেওয়া এসব ঋণের টাকা দিয়ে জুয়া খেলতেন সেকান্দার। এমনকি মাঝেমধ্যেই নিজের বাড়িতে বসাতেন জুয়ার আসর। জুয়া খেলায় হেরে গেলে প্রায়ই ঝরনাকে মারধর করতেন সেকান্দার।
মাঝেমধ্যেই জুয়া খেলতে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বাধ্য করতেন সেকান্দার। সম্প্রতি তিনি জুয়া খেলে হেরে গিয়ে ঝরনাকে আরো ৩০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন বাবার বাড়ি থেকে। ঝরনা টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় দুদিন আগে তাঁকে মারধর করেন সেকান্দার।
স্থানীয় লোকজন জানায়, আজ সকালে বাড়ির মুরগির খামারের ভেতরে ওড়না দিয়ে মুখ প্যাঁচানো অবস্থায় ঝরনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সেকান্দার শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন,যৌতুকের দাবি করা টাকা না দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সেকান্দার ঝরনা বেগমকে মারধর করেন। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন সেকান্দার শেখ।
ঝরনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ঝরনার মা জাকিয়া বেগম থানায় হত্যা মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি।
ঝরনা বেগমের ছোট ভাই রাশেদ মিয়া (২৪) বলেন, ‘যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় আমার বোনকে মারধর করতেন সেকান্দার। কয়েকদিন আগে তিনি জুয়া খেলতে আমাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমরা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি আমার বোনকে হত্যা করেছেন।’