শিশু রাজন হত্যা মামলা ডিবিতে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/15/photo-1436962323.jpg)
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলা পুলিশের কাছ থেকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন রাজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ এবং সিলেটের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী। তাঁরা রাজনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাজনকে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিওচিত্রও ধারণ করা হয়। এ ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
এ ঘটনায় মুহিত, কামরুল, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালসহ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
রাজনের লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে মামলার আসামি মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁকে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগমকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানা এলাকার লামাকাজি মীরেরগাঁও থেকে গত সোমবার ভোরে ইসমাঈল হোসেন আবলুছকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসমাঈল শিশু রাজন হত্যার প্রধান আসামি মুহিত আলমের আত্মীয়।
ওই দিন বিকেলে মামলার অন্যতম আসামি কামরুলকে সৌদি আরবের জেদ্দায় আটক করা হয়। তিনি ঘটনার পরপর পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কামরুল এখন জেদ্দা পুলিশের হাতে রয়েছেন। তাঁকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরতলির টুকেরবাজার এলাকা থেকে স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বুধবার দুপুরে শহরতলির শেখপাড়া থেকে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় এ মামলার আরেক আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।