আ. লীগের সংঘর্ষ, গুলিতে যুবলীগ নেতা নিহত

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে যুবলীগের নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।
নিহত ব্যক্তি হলেন ইকবাল ফকির ওরফে মাইকেল। তিনি রাজনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নড়িয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন গাজী এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দাদন মিরবহরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির গাজীর লোকজন দাদন মিরবহরের সমর্থক আন্ধার মানিক বাজারের ব্যবসায়ী দাদন মিরমালতের দোকানে হামলা চালায়। এরপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে দাদন মীরবহরের সমর্থক ইকবাল ফকির আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের মধ্যে ১০ জন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দাদন মীরবহর বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির গাজীর লোকজন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমে হামলা চালায়। তাঁদের গুলিতে ইকবাল নিহত হয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন সদস্য ছিলেন বলেও জানান দাদন মীরবহর।
এ ব্যাপারে কথা বলতে জাকির গাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এহসানুল ইসলাম বলেন, ইকবালকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তাঁর স্বজনরা। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি মারা গেছেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ করলে মামলা নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।