যুবলীগ নেতার দাফন সম্পন্ন, মালতকান্দি গ্রাম পুরুষশূন্য
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন ফকির ওরফে মাইকেলের (২৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাস্থল মালতকান্দি গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
গতকাল রাজনগর ইউনিয়নের মালতকান্দি গ্রামে ঘটা ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইকবাল। তিনি রাজনগর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন। ওই ঘটনায় আরো ১৫ জন আহত হন।
শনিবার দুপুরে নিহত ইকবালের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন গাজী এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দাদন মীরবহরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির গাজীর লোকজন দাদন মিরবহরের সমর্থক আন্ধার মানিক বাজারের ব্যবসায়ী দাদন মিরমালতের দোকানে হামলা চালায়। এরপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলিতে দাদন মীরবহরের সমর্থক ইকবাল ফকির আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহত ইকবালের বাড়িতে চলছে স্বজনদের কান্নার আহাজারি। নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম তাঁর শিশু শ্রাবন্তী ও জিহাদকে বুকে জড়িয়ে স্বামীর জন্য কাঁদছেন। জুলেখা বলেন, ‘আমার সন্তানদের পিতৃহারা করেছে। আমার সন্তানরা এতিম হয়ে গেল। আমি বিধবা হয়ে গেলাম। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখা হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।