যমুনায় পানিবন্দি লাখো মানুষ
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলের ২৯টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
জেলার পাঁচ উপজেলায় নতুন করে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। যমুনার পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের গ্রামগুলো।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচটি উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ডুবে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, ভারতের আসামে বন্যার কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। এ কারণে দ্বিতীয় দফায় সিরাজগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান,বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৯টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেঘনা ও তিস্তা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বাংলাদেশ অংশে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিও প্রবণতাও আগামী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।