‘এবারের বন্যা একটু ভিন্নরকম ও ভয়াবহ’
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘এবারের বন্যা একটু ভিন্নরকম ও ভয়াবহ।’ তিনি আরো বলেন, ‘বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে।’
আজ সোমবার সৈয়দপুরের পাটোয়ারীপাড়ায় খড়খড়িয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
গতকাল রোববার সৈয়দপুর শহর রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি হু হু করে ঢুকছে। এরই মধ্যে শহরের মিস্ত্রিপাড়া, বাঁশবাড়ি, নতুন বাবুপাড়া, কুন্দল, কাজিরহাট ও পাটোয়ারীপাড়া এলাকা কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে শহরের ওইসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া সৈয়দপুর বিমান বন্দরের সীমানা প্রচীরের ৩০ থেকে ৪০ মিটার ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে।
সৈয়দপুর পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষকে ১৬টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় সাময়িক আশ্রয়ের জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সৈয়দপুর শহরের পাটোয়ারীপাড়ায় খড়খড়িয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নদী থেকে পলি অপসারণ অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে দেশে কয়েক বছর বন্যা হয়নি। তবে এবারের বন্যা একটু ভিন্নরকম ও ভয়াবহ। সরকার পূর্ব থেকে সতর্ক করছিল, চলতি মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। ভারতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কাজেই ওই বর্ষণের কারণে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা।’
সৈয়দপুর শহর রক্ষা বাঁধটি দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদমন্ত্রী। আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘বিলীন হওয়া বাঁধ মেরামতে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ভবিষ্যতে বন্যা মোকাবিলায় সরকার স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী। মন্ত্রীকে স্বাগত জানান সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার। নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ রহীম, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বজলুর রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।