আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়ায় দুর্বৃত্তরা
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক মোরশেদুজ্জামান সেলিমকে কুপানোর পর দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা সেখানে থাকা একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।
গত রোববার রাত সোয়া ৯টায় উপজেলা সদরের ধানমহালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিজামুদ্দিন বাবুলের বাসায় রাজনৈতিক সহকর্মী বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়ার সময় মোরশেদুজ্জামান সেলিমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সেলিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছয়জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। আসামিরা হলেন উপজেলার পূর্ব দাপুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মিঠুন (২৮), মামুদনগর গ্রামের জিল্লুর (২২), পশ্চিম দাপুনিয়া গ্রামের সুখ মিয়া (২৩), কলাবাগান গ্রামের আকাশ (২৪), বোকাইনগর গ্রামের আশিক (২০) এবং মামুদনগর গ্রামের সালামের ছেলে আশরাফুল (২০)।
মামলার এজাহারে মোরশেদুজ্জামান সেলিম উল্লেখ করেন, ‘২০-২৫ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী পেট্রলসহ পিস্তল, রামদা, ছুরি, ডেগার, হকিস্টিক, লাঠি ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে আমাকে খুন করার জন্য নিজামুদ্দিন বাবুলের গদিঘরে হামলা করে। এ সময় আসামি সুখ মিয়া রামদা দিয়ে খুন করার জন্য কুপ দিলে আমি সরে যাই। কুপটি আমার মাথায় না লেগে কোমরের নিচে ডান পাশে লাগে। এতে হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
একই সময়ে আসামি আশরাফুল রামদা দিয়ে খুন করার জন্য মাথা লক্ষ্য করে আরো একটি কুপ দেয়। আমি ডান হাত দিয়া ফিরালে বাহুতে লেগে জখম হয়। আসামি জিল্লু ঘরের সামনে থাকা ব্যবসায়ী স্বপনের মোটরসাইকেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিলে তা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।’
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ‘এ সময় আতঙ্কে নিজামুদ্দিন বাবুলের বাসার নারী-শিশু ও প্রতিবেশীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আসামি মিথুন পিস্তল দিয় ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং আসামি আকাশ বাবুলের গদিঘরের মেইন সুইচ অফ করে অন্ধকার বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।’