কিশোরগঞ্জে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/22/photo-1437584538.jpg)
ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জে গত চারদিন ধরে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। তাঁদের কাছে জিম্মি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন সড়ক ও গন্তব্যে জোর করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ক্ষতি পোষাতেই বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বাসভাড়ার লাগাম নেই
কিশোরগঞ্জ থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকাগামী বাসের নির্ধারিত ভাড়া ১৯০ টাকা। কিন্তু গত চারদিন ধরে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ২৫০ টাকা। কিশোরগঞ্জ-ভৈরব-ঢাকা সড়কে ভাড়া ১৭০ টাকা। বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ২২০ টাকা। কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ১০০ টাকা ভাড়ার জায়গায় নেওয়া হচ্ছে ১৩০ টাকা।
ঢাকার বাসযাত্রী নামির ওমর অমি বলেন, ১৯০ টাকার ছাপানো টিকিট দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার পরও পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করছেন। এতে বেশি টাকা দিয়েও নিরাপদ যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
তিন গুণ বেশি ভাড়ার পাশাপাশি দুর্ব্যবহার
বাস ভাড়ার পাশাপাশি প্রায় তিন গুণ বেশি বেড়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া। কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে হাওরের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত চামড়াঘাট পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া ৩৫ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। কিশোরগঞ্জ থেকে গাজীপুর চৌরাস্তার ভাড়া ২০০ টাকা হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই এসব গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।
এসব পথে অটোরিকশায় যাতায়াত করেন রুহুল আমিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, চামড়াঘাটের অটোরিকশা ভাড়া ৩৫ টাকা। কিন্তু তিন গুণ ভাড়া নিয়েও চালকরা দুর্ব্যবহার করছেন। সুযোগ বুঝে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরাও ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আজ বুধবার কিশোরগঞ্জ গাইটাল ও বত্রিশ আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে ঈদ ফেরত যাত্রী ভিড় দেখা যায়। যাত্রীদের বাসভাড়া বাবদ গুনতে হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি টাকা।
এ ব্যাপারে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তত্ত্বাবধায়ক কমিটির আহ্বায়ক মানিক রঞ্জন দে জানান, ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সমিতির কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নয়। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে আসা বাস খালি থাকায় অনেকেই বেশি ভাড়া আদায় করছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জি এস এম জাফরউল্লাহও।