গাংনীতে আহত পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পীরতলা পুলিশক্যাম্পের কনস্টেবল আলাউদ্দীন (৩২) মারা গেছেন। আজ শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে গাংনীর বামন্দি-কাজীপুর সড়কে মাইক্রোবাস তল্লাশিকালে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পীরতলা পুলিশক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুবীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে কয়েকজন কনস্টেবল আজ শুক্রবার রাতে গাংনীর সাহেবনগর তালতলা নামক স্থানে টহলে ছিলেন। এ সময় কাজীপুরের দিক থেকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস টহল এলাকা অতিক্রম করার সময় পুলিশ সদস্যরা থামতে নির্দেশ দেন। এ সময় মাইক্রোবাসের ভেতরে ঢুকে কনস্টেবল আলাউদ্দীন তল্লাশি করছিলেন। একপর্যায়ে মাইক্রোবাসের চালক আলাউদ্দীনকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে রওনা দেয়। মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা যাত্রীবেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত আলাউদ্দীনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পাশের হাড়াভাঙ্গা মাদ্রাসার কাছে ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমারুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনস্টেবল আলাউদ্দীনের মৃত্যু হয়।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রকিব জানান, রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে কনস্টেবল আলাউদ্দীনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর ১০ মিনিট পর তাঁর মৃত্যু হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল সীমান্তবর্তী এলাকা। ধারণা করা হচ্ছে, চোরাচালানিরা সীমান্ত থেকে কোনো অবৈধ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আশঙ্কায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে গোটা এলাকায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ওই মাইক্রোবাসটির সন্ধান পাওয়া যায়নি বা দুর্বৃত্তদের আটক করা যায়নি।