কক্সবাজারে ফের বন্যা, বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

গত মাসে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সপ্তাহব্যাপী পানিবন্দি থাকার পর হঠাৎ করে আবার বন্যা দেখা দিয়েছে কক্সবাজারে। পানির তোড়ে চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাতামুহুরী নদীর বিশাল বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুর্গত এলাকার লোকজন।
এ ছাড়া কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু, পেকুয়া ও সদর উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের চারটি পয়েন্ট দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে এই সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
চকরিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মাতামুহুরী নদীর পানি। আজ রোববার দুপুরের দিকে ঢলের পানির তোড়ে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বিশাল বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম জানান, নতুন করে আবারও বন্যা দেখা দেওয়ায় উপজেলার কাকারা, ফাসিয়াখালী, পৌরসভা, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, চিরিঙ্গা, বিএম চর, কোনাখালী ইউনিয়নের বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত মাসের বন্যায় দুর্গতরা আরো দুর্ভোগে পড়েছেন।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফায়েত আজিজ রাজু জানান, নতুন করে ঢলের পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বাকখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এ এম রহিম উল্লাহ ও রামু উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম জানিয়েছেন, বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে এই দুই উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।