সেন্টমার্টিনে ঝড়, গাছচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ-বাঁশ দিয়ে নির্মিত শতাধিক ঘরবাড়ি বাতাসের সঙ্গে উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে দ্বীপের অনেক গাছগাছালি। নোঙর করা ১০টি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে।
দ্বীপের পশ্চিমপাড়ায় গাছচাপায় মো. ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তাঁকে গাছের নিচ থেকে উদ্ধার করেছেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকে প্রবল ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। থেমে থেমে বাতাস বইছে। সঙ্গে বৃষ্টিপাতও চলছে।
ঝড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। বাতাসের গতিবেগ এতই প্রবল যে দাঁড়িয়ে থাকাও অস্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।urgentPhoto
ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান, দ্বীপের শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেছে। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে দ্বীপবাসী। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ জানান, লোকজনকে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা এ কে এম নাজমুল হক জানান, বুধবার বিকেল ৩টা থেকে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্র তীরবর্তী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে বলা হয়েছে।
টানা বর্ষণ ও সাগরের জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল এক সপ্তাহ ধরে পানির নিচে। কমেনি বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ।
জেলায় শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ফলে এসব এলাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। পূর্ণিমার তিথির কারণে জোয়ারের পানিতে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলা উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।