পরিবারের দাবি গুলি, পুলিশ বলছে ‘জানে না’
নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর এলাকার করিমপুর গ্রামে পুলিশের গুলিতে কামাল উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কামালের বাড়ি করিমপুর গ্রামে। তিনি মাছ ব্যবসার পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। তাঁর বাবা জাতীয় পার্টির করিমপুর ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী।
কামালের বাবা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতের দায়িত্ব পালন করার সময় করিমপুর গ্রামের আঠিয়াবাড়ী পোলসংলগ্ন খালপাড়ে যান বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। এ সময় কামাল উদ্দিন আরো দুজন লোকের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। পুলিশকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামতে দেখে তিনজনেই ভয়ে দৌড় দেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে অতর্কিতে দুটি গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে কামাল পানিতে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
কামালের বাবা অভিযোগ করে বলেন, বেগমগঞ্জ থানার ‘বিতর্কিত’ উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিনের নির্দেশে কনস্টেবল রাসেল তাঁর ছেলের ওপর গুলি চালান। তিনি বলেন, বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ নারীদেরও অহেতুক গুলির ভয় দেখায়। তাই ওই এলাকায় ভয়ে রাতে কেউ ঘর থেকে বের হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে এসআই জসিম এনটিভিকে বলেন, ‘আমি তো সারা রাত ডিউটি করেছি। আমি কিছু জানি না। শুনছি, করিমপুরে গুলিবিদ্ধ একটা লাশ পড়ে আছে।’