মিয়ানমারকে বাধ্য করতে সব পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য অবরোধসহ সব ধরনের পদক্ষেপের কথাই ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার আমেরিকার ক্লাবে এনটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা জানান সদ্য বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেদার নাওয়ার্ট।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো নিপীড়নকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে চিহ্নিত করার গুরুত্বও ওয়াশিংটনের চিন্তায় রয়েছে বলে জানান হেদার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে আগামীতে যারাই জয়ী হবে, তাদের সঙ্গেই কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সাক্ষাৎকারটি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে কুতুপাংলে গিয়ে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার চিত্র দেখে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ওয়াশিংটনের নিজের কাজে যখন ফিরে যাবেন, সেই নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তখন তিনি বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
হেদার নাওয়ার্ট বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর কী চলছে সারা বিশ্ব অবহিত। তাঁর দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আমরা এটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকগুলো পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। সামরিক অবরোধ চলছে। এই অবরোধের বিস্তার কীভাবে করা যায় তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতার কথা বলার সময়ে হেদার হয়ে পড়েন খানিকটা আবেগপ্রবণ। সেখানকার নারীদের চিত্র তুলে ধরে বলেন, একজন মা হিসেবে তাঁর এই দৃশ্য খুব কষ্টের। সেখানে যা দেখেছি তা ভীষণ কষ্টের। যেকোনো মানুষকে তা মর্মাহত করবে।
হেদার নাওয়ার্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ওপর অব্যাহত নিপীড়নকে জাতিসংঘের মতো জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করার বিষয়ে বিবেচনায় রেখেছে। এটা নিয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না। তবে তথ্য-উপাত্ত বাস্তবতার সবই আমরা দেখছি। অবশ্যই এই দিকটাও আমরাও ভাবছি। হেদার বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সুশাসন ও জঙ্গিবাদের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটাই আমাদের আশা। যারাই জয়ী হবে তাদের সঙ্গে কাজ করব সহযোগিতার ভিত্তিতে।