‘প্রয়োজনে আগাম নির্বাচন হবে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়’
আগাম নির্বাচনের ধুয়া তুলে বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতারা বলেন, দেশবাসী এই নির্বাচন হতে দেবে না। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। রাজধানীতে আলাদা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নির্বাচনের প্রসঙ্গ ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে ১৯টি চুক্তির কথা বলা হলেও এসব চুক্তি কোনোদিন কার্যকর হবে না। বরং রোহিঙ্গা ইস্যুতে চুক্তি করে বাংলাদেশকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
আর জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, যাতে কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আগাম নির্বাচন হতে পারে। এগুলো সব স্পেকুলেশন। আমি মনে করি না তাদের অত বড় সাহস হবে এই আগাম নির্বাচন করতে। আগাম নির্বাচন বলেন আর সময় অনুযায়ী নির্বাচন বলেন, কোনো নির্বাচনই বাংলাদেশে হবে না তার একমাত্র প্রধান পূর্বশর্ত হলো পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে।’
আর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি এ দেশে আর হবে না। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু হয় না, নিরপেক্ষ হয় না, মানুষ ভোট দিতে পারে না। এটা প্রমাণিত। অতএব, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, প্রয়োজনে আগাম হবে কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নয়।’
এ ছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখা। এতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করলে কঠিন মূল্য দিতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে এই আইনি ব্যবস্থায় ফেলে আপনারা কিন্তু ফসল ঘরে তুলতে পারবেন না। এবং সেই পথে যদি চলেন, উচ্চমূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে।’