আদালত অবমাননায় জনকণ্ঠ সম্পাদকের দণ্ড-জরিমানা
আদালত অবমাননার দায়ে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে আজ বৃহস্পতিবার আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন আপিল বিভাগের কক্ষেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এটা তাঁদের দণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে দুজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বৃহত্তর ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারপতিরা এজলাসে বসেন। এর পর তাঁরা রায় পড়া শুরু করেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘সংবিধানে ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিকদের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা রয়েছে।
তবে তা নিরঙ্কুশ নয়, আইন দ্বারা নির্ধারিত। সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতার ব্যবহার অবধারিত করা যাবে না এবং সংকুচিতও করা যাবে না। জনকণ্ঠ বিচারকদের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বিচার বিভাগ সম্পর্কে কুৎসা রটনা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী এটা আদালত অবমাননার শামিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে, তাঁরা ইচ্ছা করলে আদালত অবমাননার অভিযোগে দণ্ড দিতে পারবেন।’
আদালতে দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিকদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন দোলন ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। বিচারাধীন বিষয়ে লেখা প্রকাশ করায় ২৩ জুলাই মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও স্বদেশ রায়কে তলব করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে জনকণ্ঠের এ দুই সাংবাদিককে কেন দণ্ড দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত।