লাইসেন্স না থাকায় মোটরসাইকেল চালককে নির্যাতনের অভিযোগ
ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মানিকগঞ্জে এক মোটরসাইকেল চালককে হাতকড়া পরিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলার বানিয়াজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপপরিদর্শক (এসআই) জামান হোসেন ওই নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে মোটরসাইকেল ছাড়ানোর তদবির করায় এসআই জামান হোসেন ঢাকায় কর্মরত আরেক এসআই আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নির্যাতনের শিকার মোটরসাইকেল চালক টগর স্বপনের মামাতো ভাই তুষার খান জানান, তাঁর ভাই আজ শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলযোগে সদর উপজেলার নবগ্রাম যাচ্ছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। বেলা ১১টার দিকে বানিয়াজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায়। কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় মোটরসাইকেল রেখে বাড়ি থেকে কাগজপত্র নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে যান টগর। এ সময় পুলিশ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে হাতকড়া পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বানিয়াজুরী তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে টগর স্বপনকে ছাড়িয়ে আনেন।
বানিয়াজুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জামান হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, টগর স্বপনের ড্রাইভিং লাইন্সেস ও মোটরসাইকেলের ইনস্যুরেন্স ছিল না। তাঁকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। বরং টগর স্বপন পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। মোটরসাইকেল মামলা না দিতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে মুঠোফোনে তদবির করেন। এর মধ্যে ডিএমপির এসআই আলতাফ হোসেনও ছিলেন। তদবির রাখতে না পারায় তিনি মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও হুমকি দেন। সেই কারণে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টগর স্বপন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, এসআই আলতাফ হোসেন আগে মানিকগঞ্জ সদর থানায় ছিলেন। তিনি মোটরসাইকেলটি আলতাফের কাছ থেকে কিনেছেন। তাঁর কাছে কাগজপত্রও রয়েছে। এ কারণে তিনি এসআই আলতাফকে জানালে তিনি তিনি এসআই জামানকে ফোন দেন। কিন্তু জামান কোনো কথা না শুনেই তাঁকে নির্যাতন করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে টগর স্বপনের ড্রাইভিং লাইন্সেস না থাকায় এবং পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৩৮ ধারাবলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সদর থানার ওসি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশে ড্রাইভিং লাইন্সেস না থাকায় একটি মামলা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ টগর স্বপনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, টগর স্বপনকে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ হাতাহাতি করেছেন। আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টিও নিশ্চিত করেন ওসি।