আশুগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌযান ধর্মঘট
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/08/25/photo-1440514643.jpg)
নৌপথে নিরাপত্তা, চাঁদাবাজি, শ্রমিক নির্যাতন ও ডাকাতির প্রতিবাদে সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দ্বিতীয় দিনের মতো নৌযান ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় আশুগঞ্জ বন্দরে দেড় শতাধিক পণ্যবাহী কার্গোজাহাজ আটকা পড়েছে। কোনো মালামাল লোড-আনলোড করা যাচ্ছে না। এতে জাহাজ মালিকরা বিপাকে পড়েছেন।
বাংলাদেশ কার্গোভেসেল পূর্বাঞ্চলীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার বলেন, নৌপথে পুলিশের চাঁদাবাজি এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বৈদ্যের বাজার, আড়াইহাজার উপজেলার খাদখান্দা, নরসিংদীর নুনের টেক, পাউরুটির চর, নেত্রকোনার সাঁওতাল, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, সিলেটের জাফলং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও সলিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের দুলালপুসহ ২২টি স্পটে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি হচ্ছে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে।
তা ছাড়া নৌপথে একদিন দুই দিন পর পর ডাকাতি হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকনেতা হাবিবুল্লাহ বাহার। তিনি বলেন, নৌপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ ও নৌযানের নিরাপত্তা যত দিন নিশ্চিত না হবে তত দিন ধর্মঘট চলবে।
এদিকে নৌযান ধর্মঘট ডাকায় অন্তত দেড় শতাধিক কার্গোজাহাজ আশুগঞ্জ বন্দরে আটকা পড়েছে। মালামাল উঠানামা করছে না। মালামাল উঠানামা বন্ধ থাকায় প্রায় এক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
আশুগঞ্জ কার্গোজাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হোসাইন হামদু বলেন, ‘চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।’
কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নৌপুলিশের প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় বিশাল নৌপথের কোথাও চাঁদাবাজি হয়ে থাকতে পারে। নজরে এলে আমরা দ্রুত এসবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেই।
নৌযান ধর্মঘটের বিষয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন যে ধর্মঘটে আছে তা আমাদের নজরে এসেছে । আমরা এ ধর্মঘট প্রত্যাহারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।