বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
সারা দেশের আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও আইন পেশার সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন চলছে।
urgentPhoto
আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রসহ দেশের সব জেলার দেওয়ানি আদালতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে একযোগে সারা দেশে নির্বাচন শুরু হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’
জয় ধরে রাখতে এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বার কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
প্রতি তিন বছর পর বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী সারা দেশের ৪৩ হাজার ৩০২ জন আইনজীবী তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন। বাকি ১৪ জন সদস্য আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। আর ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনে ১৪টি সদস্যপদের জন্য চূড়ান্তভাবে ৬১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪ জন সদস্যের মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে সাতজন নির্বাচিত হবেন।
এ ছাড়া একজন আইনজীবী সাধারণ আসনে সাতজন এবং নিজ অঞ্চলের একজন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
বার কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, সাধারণ আসনে সাতজন সদস্যের বিপরীতে ৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সাতটি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সাতটি সদস্যপদের জন্য মোট ২৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যাঁরা
এ নির্বাচনে সাধারণ আসনে সাতটি সদস্যপদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন—সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন (খোকন), ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বোরহানউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া।
অন্যদিকে, সাধারণ আসনে আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন—সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট পরিমলচন্দ্র গুহ (পিসি গুহ), অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল ছাড়াও ঐক্যবদ্ধ আইনজীবী সমাজ নামে আরেকটি প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এ প্যানেলে রয়েছেন সুব্রত চৌধুরী, শাহ মো. খসরুজ্জামান, এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, সরওয়ার ই-দীন, মো. হেলাল উদ্দিন, আবদুল মোমেন চৌধুরী ও জহিরুল ইসলাম।
এই তিন প্যানেলের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের মধ্যে সাধারণ আসনে রয়েছেন—মো. ইস্রাফিল, মো. ইউনুস আলী আকন্দ, নাসির উদ্দিন আহম্মেদ অসীম, আবুল কালাম আজাদ, আবুল হোসেন, এনামুল কবির হাওলাদার, দেলোয়ার হোসেন মল্লিক, মাহবুব মিয়া, শওকত হায়াত, সামছুল হক ও সুলতান এ সবুর।