আদালতের নির্দেশনা আছে, তবু বাদ ২৫০ পরীক্ষার্থী
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ‘গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্স’-এ ২৫০ শিক্ষার্থীকে ছাড়াই পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।
আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বগুড়া এসবি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ আল ফারাবি মো. নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০০ সালে বগুড়া এসবি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজ যাত্রা শুরুর পর থেকে ১৫টি ব্যাচ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কলেজ অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের হঠাৎ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনলাইন কোড বন্ধ করে দেয়। এতে এই সেশনে ভর্তিকৃতদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুলসহ একটি আদেশ দেন। ওই আদেশে এসব পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের সেই আবেদনের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আদালতের এই নির্দেশের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৫০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দেয়। পূর্ব প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এই কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা। সেই লক্ষ্যে গত শনিবার অন্যান্য কলেজকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হলেও আমাদের কলেজের ২৫০ শিক্ষার্থীকে কোনকিছুই দেওয়া হয়নি। তাই এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চিন্তা করে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘লিগ্যাল ডিভিশনে’ খোঁজ নিতে বলেন।
পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীদের কাছে জেনেছি হাইকোর্ট বিভাগ একটি সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের বিষয়ে সোমবার আদেশের জন্য রেখেছেন। সেই আদেশ আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে আমরা সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করব। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে।’
১৯৯৯ সালে ওই কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। তখন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কলেজটির উদ্বোধন করেছিলেন।