গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো গণবিরোধী : বিএনপি
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুরেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। এটি নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বাড়তি দুর্ভোগের কারণ হবে।
urgentPhoto
আজ শনিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বিবৃতি পাঠকালে এসব কথা বলেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তথাকথিত লোকদেখানো শুনানির নামে আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির যে ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করা দল হিসেবে বিএনপি মনে করে, দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। এর ফলে নিম্ন আয় আর মধ্যবিত্ত মানুষ আরেক দফা দুর্ভোগে নিপতিত হবেন।’
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার পরও দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী বলেও উল্লেখ করেন রিপন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও কমে যাওয়ারই কথা। কিন্তু তা না করে সরকার উল্টো বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আর গ্যাসখ্যাত লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলসহ দেশের সব শাখার মতামতকে মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত এক বছরের তুলনায় এক তৃতীয়াংশে নেমেছে এবং অব্যাহতভাবে তেলের দাম কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় দেশের জনগণ কোনো সুফল পাচ্ছে না। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা, অদূরদর্শিতা, দুর্নীতি, সিস্টেমলস বিদ্যুৎ খাতকে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে, আর জনগণকে এর মাশুল দিতে হচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলে দেশে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো জানিয়ে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিইআরসি ঘোষিত তেল-গ্যাসের বর্ধিত মূল্যে কৃষি-শিল্প-ব্যবসা-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম কম থাকলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ত, কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হতো।’