প্রস্তুত শহীদ মিনার

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পেরোলেই ফুলে ফুলে ভরে যাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। দেশজুড়ে পালিত হবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটি পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
প্রতিবছরই একুশের প্রথম প্রহরে হাজারো মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধায় রাজধানীর সব পথ গিয়ে মেশে শহীদ মিনারে। তেষট্টি বছর আগে এই একুশে ফেব্রুয়ারিই তো এককাতারে এনে দাঁড় করিয়েছিল সব ধর্ম আর পেশার মানুষকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একুশ মিশে গেছে এ দেশের মানুষের আবেগ, অনুভূতি আর শিহরণে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা।
একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ধুয়েমুছে প্রস্তুত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি। বরাবরের মতো এবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনসহ যাবতীয় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শহীদ মিনারের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, শহীদ মিনারকে ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা শহীদ মিনারের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জাতীয় শোক দিবসে নিরাপত্তা দিতে র্যাবের সামর্থ্যকে পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করে একাধিক নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।