ঝালকাঠিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

জোয়ারের প্রভাবে বেড়ে যাওয়া সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঝালকাঠির নতুন নতুন এলাকা। স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বেড়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার চার উপজেলার শত শত মানুষ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ঝালকাঠি শহরের থানা সড়ক, কুমারপট্টি, বারোচলা বাজার, কিস্তাকাঠি, উত্তর কিস্তাকাঠি ও পোনাবালিয়া এলাকা।
এ ছাড়া তিনদিন ধরে শহরের কলাবাগান, নতুন কলাবাগান, নতুন চর, কৃষ্ণকাঠি, বাঁশপট্টি, স্টিমারঘাট, কলেজ খেয়াঘাট ও পৌর খেয়াঘাট এলাকায় পানিবন্দি হয়ে আছে অসংখ্য মানুষ।
ঘরের ভেতরেও পানি প্রবেশ করায় অনেকেই মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
এ ছাড়া নলছিটি পৌর এলাকার খোজাখালী, মালিপুর, সারদল, অনুরাগ, কুমারখালী, সরই, বারইকরণ এবং সদর উপজেলার ভবানিপুর ও তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বেশকিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। শহর ও গ্রামের প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারপাশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা হাঁটুপানি পেরিয়ে ক্লাসে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনদিন ধরে কাঁঠালিয়ার আমুয়া ও নলছিটি-ষাইটপাকিয়া ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। বন্ধ আছে সব ধরনের যান চলাচল।
এদিকে রাজাপুরের বিষখালী নদীর তীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় উপজেলার বড়াইয়া ও মঠবাড়ি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে সদ্য রোপা আমন ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষকরা।
নলছিটি সরই গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, ‘আমার ৪০ শতাংশ জমিতে আমনের বীজতলা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।’ পানি স্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।