অসুস্থতার খবর দিয়ে প্রতারণা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন চারদিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির ছেলে। হারিয়ে যাওয়া বাবার অসুস্থতার খবর দিয়ে প্রতারক চক্রটি ১১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ জানায়, উপজেলার আনোয়ারখালী গ্রামের আবুল হাসিম (৫২) গত ২৮ আগস্ট শুক্রবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার তারের ঘাট পীরের বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। এরপর নিখোঁজ আবুল হাশিমের সন্ধানে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে এবং মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়। কিন্তু তারপরও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পরদিন আবুল হাসিমের ছোট ছেলে জাজির হোসেন পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ঘটনার তিনদিন পর গতকাল সোমবার এক ব্যক্তি ০১৭৮৯৭৩৫৭৫৭ নম্বর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজের পরিচয় না দিয়ে মুঠোফোনে ওই ব্যক্তি জানান, ওই দিন ভোর ৪টায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির কাছে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁর বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছেন। এ জন্য তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য দ্রুত ১১ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলেন। বাবার সন্ধান পাওয়ার খবর বিশ্বাস করে জাহাঙ্গীর আলম পাকুন্দিয়া বাজারে এসে বিকাশের মাধমে ওই ব্যক্তির ০১৭৮৯৭৩৫৭৫৭ নম্বরে ১১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা পাঠানোর কিছুক্ষণ পরই ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাবাকে খুঁজে না পেয়ে এমনিতেই আমরা মর্মাহত। এমন মুহূর্তে মানুষ এভাবে প্রতারণা করে কীভাবে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে ভাবতেও অবাক লাগে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদেরকে না জানিয়ে টাকা বিকাশ করা ঠিক হয়নি। মুঠোফোনের ওই নম্বরটির নাম-পরিচয় জানাসহ নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’