৫৭ ধারা নিয়ে আরেকটি রিট খারিজ
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আরেকটি রিট আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে পৃথক ৫৭ ধারা নিয়ে তিনটি রিট দায়ের করা হয়। এর মধ্যে গত রোববার ইউনুস আলী আকন্দের রিট খারিজ করা হয়। গতকাল বিশিষ্ট ১১ নাগরিকের করা অপর রিট নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট : ৫৭ ধারাটি কেন সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা হবে না।
আজ অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের করা রিটটি খারিজ করা হয়। আদেশের পর তিনি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় বের হওয়ার পর আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব।’
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং অন্যূন সাত বছর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’