ট্রলি ব্যাগ থেকে মিলল সোয়া দুই কেজি সোনা!

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাচারকালে দুই কেজি ২৭৮ গ্রাম ওজনের ১৯টি সোনার বার ও ১০টি স্বর্ণখণ্ডসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সোনা আটক করা হয়।
আটক দুজন হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪৬) ও মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হরিদিয়া গ্রামের মাসুদ রানা (৪০)। তারা দুজনই সোনা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁদের পাসপোর্টে দেখা গেছে, নুরুল ইসলাম এই বছর ২০ বার ও মাসুদ রানা পাঁচবার ভারত ভ্রমণ করেছেন।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সেলের উপপরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছদ্মবেশে আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দর্শনার জয়নগর চেকপোস্টে অবস্থান নেয় শুল্ক গোয়েন্দার দল। নুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানাকে সন্দেহ হলে সকাল ৭টার দিকে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার হওয়ার পর শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু অবৈধ কিছু থাকার কথা অস্বীকার করে তারা।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তাঁদের সঙ্গে থাকা দুটি ট্রলিব্যাগ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৯টি সোনার বার ও ১০টি স্বর্ণ খণ্ড জব্দ করা হয়। যার ওজন দুই কেজি ২৭৮ গ্রাম এবং টাকার অঙ্কে প্রায় এক কোটি ১৩ লাখ টাকা।
জিজ্ঞাসাবাদের পর নুরুল ইসলাম জানান, ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে কামরুল নামের এক ব্যক্তি এই সোনার বারগুলো (১১টি সোনার বার ও ১০টি স্বর্ণ খণ্ড, মোট এক কেজি ৩৪৬ গ্রাম) তাঁকে দিয়েছেন এবং চেকপোস্ট পার হওয়ার পর কলকাতার বড় বাজারে অপর এক ব্যক্তি কসমস হোটেলের ২০৩ নম্বর কক্ষে এসে তাঁর কাছ থেকে এই বারগুলো নিয়ে তাঁকে ২০ হাজার টাকা দেবেন।
নুরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এক রেস্তোরাঁয় আগে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। প্রায় দুই বছর আগে দেশে ফিরে তিনি এই সোনা চোরাচালান ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
আরেক আটক ব্যক্তি মাসুদ রানা বলেন, ইসলামপুরে তিনি কাপড়ের ব্যবসা করেন। ঢাকার খিলগাঁওয়ের মামুন নামের এক ব্যক্তি তাঁকে এই (আটটি বার, ৯৩২ গ্রাম) এই সোনার বার দিয়েছেন কলকাতার বড় বাজারে এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য। সেখানে গেলে ওই ব্যক্তি মাসুদকে মোবাইলে ফোন করে তাঁর কাছ থেকে এই বারগুলো নিয়ে নিতেন।
শুল্ক গোয়েন্দা বাদী হয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে আটক দুই যাত্রীকে দামুরহুদা থানায় সোপর্দ করেছে।