নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার জরুরি : প্রধানমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/05/photo-1441467112.jpg)
সরকার দেশে ইন্টারনেট ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহ-২০১৫ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
urgentPhoto
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিশেষ করে শিশুদের জন্য নিরাপদ রাখার পাশাপাশি একে যেন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ও জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে না পারে তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণের পাশাপাশি এটির নিরাপদ ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির যে কোনো অশুভ মনোভাব নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আমাদের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁর সরকার ব্যান্ডউইথ মূল্য আটবার কমিয়েছে এবং বর্তমান মূল্য ৬২৫ টাকায় নেমে এসেছে যা ২০০৮ সালে ছিল ৭৮ হাজার টাকা। তিনি সরকারের উদ্যোগ অনুসরণ করে কল রেট কমিয়ে আনার জন্য টেলিফোন অপারেটরদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং গ্রামীণফোনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ এবং সারা দেশের ৪৮৭টি উপজেলায় ইন্টারনেট সপ্তাহ পালনের এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজিব শেঠি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নগরীর বনানী সোসাইটি গ্রাউন্ডে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইসিটি সচিব শ্যামসুন্দর শিকদারের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাগভনেট এবং ইনফোসরকার-২ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, রংপুরের পীরগঞ্জ, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, নাটোরের সিংড়া এবং বরিশাল সদর উপজেলার স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
‘উন্নয়নের পাসওয়ার্ড আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সারা দেশে ইন্টারনেট সপ্তাহ-২০১৫ পালন করা হচ্ছে। এই সপ্তাহ পালনের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে ইন্টারনেট মেলার মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া এবং আগামী এক বছরের মধ্যে দেড় কোটি নতুন ব্যবহারকারী সৃষ্টির জন্য ইন্টারনেট সম্পর্কে জনগণকে সার্বিক ধারণা দেওয়া।
এ সপ্তাহ পালনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেককে ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসা এবং তাদের অর্ধেককে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া যাতে আইসিটি খাত থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করা যায়।