রাজশাহীর মেয়র বুলবুলের পদত্যাগ
আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। আজ বুধবার বিকেলে নগর ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্রটি জমা দেওয়ার সময় একটি রিসিভ কপি দেওয়া হয়েছে। সেটি নিয়ে তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। আর তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় বুলবুল বলেন, গত সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি বারবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি দীর্ঘ ৩৩ মাস মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুনরায় সেই পদ তিনি ফিরে পেয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতির সময়ে অনির্বাচিত দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র কপোরেশনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন দাবি করে বুলবুল বলেন, তিনি তাঁর ২৬ মাস সময়ে প্রশাসনিক অসহযোগিতার মধ্যেও নগরীর উন্নয়নে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন।
বুলবুল বলেন, যত দিন দায়িত্বে ছিলাম, তত দিন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। তাই আসছে নির্বাচনে মানুষ আমাকে ভোট দেবে বলে বিশ্বাস করি।
এবার নির্বাচিত হলে নগরীর উন্নয়নে কী কী করতে চান তাও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র আনোয়ারুল আমিন আযব ও নুরুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি ভোট পেয়েছিলেন এক লাখ ৩১ হাজার ৫৮টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৭২৬ ভোট।
এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও বুলবুল বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগেরও মনোনয়ন পেয়েছেন খায়রুজ্জামান লিটন। আগামী ৩০ জুলাই এই সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।