শিক্ষকদের দাবি ও প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যে দাবি ও প্রস্তাব ছিল সেগুলো সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে শিক্ষকদের প্রস্তাব ও সুপারিশ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
সচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যেসব প্রস্তাব ছিল সেগুলো মন্ত্রিপরিষদে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত সচিব কমিটিকে শিক্ষকদের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে একটি সুপারিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কমিটি সুপারিশ দিলে পরবর্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষকদের দাবিগুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ও অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মবিরতি, অবস্থান ধর্মঘট ও স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত আগস্ট মাস থেকে প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকরা। তবে চলমান পরীক্ষাগুলো এই কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছে।
শিক্ষকদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, শিক্ষকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মধ্যবর্তী সময়ে ঘোষিত বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমান করা, রাষ্ট্রীয় ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’-এ প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যাদাগত অবস্থান নিশ্চিত করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের মতো গাড়ি ও অন্য সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা।