অভিযোগ করায় হল ছাড়ার নির্দেশ ছাত্রলীগনেতার!
মারধরের শিকার হয়ে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার ‘নির্দেশ’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন হলের শিক্ষার্থী সেলিম আহমেদের (গণিত বিভাগ, ৩৯তম ব্যাচ) কক্ষে গিয়ে তাঁকে আধা ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। এ সময়ের মধ্যে হল না ছাড়লে ‘খবর আছে’ বলেও হুমকি দেন।
সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্ট কথা কাটাকাটির জের ধরে সেলিম আহমেদকে মারধর করে ছাত্রলীগের তিন কর্মী। এ ঘটনায় গত ৩ আগস্ট ছাত্রলীগকর্মী মাহমুদুল হক রাফি (লোক প্রশাসন বিভাগ), মাহমুদুল হাসান অনিক (ফার্মেসি বিভাগ) এবং বাঁধন বসাকের (ইতিহাস বিভাগ) বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন সেলিম।
অভিযোগ দেওয়ায় বিষয়টি জানতে পেরে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘বি’ ব্লকের চতুর্থ তলায় সেলিমের কক্ষে যান সানোয়ার হোসেন। কেন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে সেলিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সেলিম এবং আধা ঘণ্টার মধ্যে হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
সন্ধ্যায় সেলিম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ছাত্রলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন সানোয়ার। এ ছাড়া হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘না, না এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি তো!’
সেলিম আহমেদের কক্ষে গিয়েছিলেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “গিয়েছিলাম। সে (সেলিম) মারধরের শিকার হওয়ার পর তার দেখাশোনা তো আমিই করেছিলাম, এর বিচার করেছিলাম। পরে সে অভিযোগ দিল, অথচ আমাকে কিছুই জানায়নি। অন্তত ‘ইমেডিয়েট সিনিয়র’ হিসেবেও তো আমি জানতে পারতাম। তাই ক্ষোভ থেকেই ওর কাছে জানতে গিয়েছিলাম। হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনো নির্দেশ দেইনি আমি। আমার ধারণা, রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য কেউ ষড়যন্ত্র করছে।”
এ প্রসঙ্গে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ওবায়দুর রহমান মুঠোফোনে জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। যেহেতু ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন, তাই ফিরে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেবেন।