'বেতন বৃদ্ধির ফলে দুর্নীতি কমবে'
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ফলে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতি কমবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, আগে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী যে দুর্নীতি করত, সেটা এখন হ্রাস পাবে।
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো অনুমোদন হওয়ায় আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীকে তাঁর কার্যালয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বেতন কম—এ কারণ দেখিয়েই আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করত। তারা এখন আর এ কথা বলতে পারবে না। তবে আমি মনে করি, এর পরও দুর্নীতি হতে পারে। কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, যারা বরাবরই দুর্নীতি করে যাবে।’
বেতন-ভাতা বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে বা সাধারণ মানুষের জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়বে কি না—জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এতে বাজারের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। বেতন বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের ওপরও কোনো প্রভাব পড়বে না।
বাড়তি বেতনে এই বিপুল অর্থের জোগান কোথা থেকে আসবে—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার রাজস্ব আয় বাড়াবে।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সেই রাজস্ব আয় তো জনগণেরই দেওয়া কর থেকে আসে, সে ক্ষেত্রে জনগণ তা বহন করতে পারবে কি? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের সে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে।’
গতকাল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। বেতন কাঠামোয় সর্বোচ্চ বেতন রাখা হয়েছে ৭৮ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন আট হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা চালু করা হয়েছে। মূল বেতনের ২০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে এই ভাতা হিসেবে। অষ্টম বেতন কাঠামোর মূল বেতন কার্যকর হবে ১ জুলাই-২০১৫ থেকে। তবে বেতনের বাইরের বিভিন্ন ভাতা কার্যকর হবে ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে। এ ছাড়া প্রতিবছর জুলাই মাসে বেতনের সঙ্গে বর্ধিত বেতন যোগ হবে।