বঙ্গবন্ধুকে ‘সবার’ করতে চান আশরাফ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
urgentPhoto
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতাসহ সবাই এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতির জনকের প্রতি সম্মান জানাবো। অথচ বঙ্গবন্ধুকে বিভক্ত করে আমরাই তাঁকে খাটো করেছি।’
আজ বুধবার সকালে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে ‘রোগীর সেবায় হই আরো যত্নবান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বিএসএমএমইউর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষ হলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় শোক দিবস সর্বজনীনভাবে পালন করতে না পারলেও এবার যেভাবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা সফল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সময়ের ব্যবধানে আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছেন। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে আদর্শিক বঙ্গবন্ধু যে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী তা প্রমাণিত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ডা. রুহুল আমীন মিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা) ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার প্রমুখ।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। ভারতে যেমন মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানে জিন্নাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ওয়াশিংটনকে যেভাবে স্মরণ করা হয় আমরা বঙ্গবন্ধুকে সেভাবে স্মরণ করতে চাই।’
‘ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে আততায়ীর হাতে জীবন দিতে হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুকেও সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁরা মানুষের মনে চিরদিনের মতো স্থান করে নিয়েছেন।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস যেভাবে পালিত হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সন্তুষ্ট। কেননা অনেক লোক এবার প্রথমবারের মতো জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনসহ যাঁরা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সৈয়দ আশরাফ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।