প্রচারণায় আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে : বুলবুল
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেছেন, বিএনপির প্রচারণায় আওয়ামী লীগ বাধা দিচ্ছে। আজ শুক্রবার নির্বাচনী গণসংযোগের সময় তিনি এ অভিগোগ করেন।
বুলবুল বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচার মাইক দুপুর থেকে সারাক্ষণ বিরক্ত করছে। এ অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে ব্যালটের মাধ্যমে নগরবাসীর ফল মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার টালবাহানা সহ্য করা হবে না। যেখানেই বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, তা না হলে এর দায়ভার নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নিতে হবে।
বিএনপিতে দলীয় কোন্দল-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, রাজশাহীতে বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে আর আগেও দ্বন্দ্ব ছিল না, এখনো নেই। মান-অভিমান কিছু থাকলেও এখন তাও আর নেই। সব নেতাকর্মী ধানের শীষের বিজয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একত্রিতভাবে এই নির্বাচনে কাজ করছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষকে খোলা কারাগার থেকে রক্ষা করতে ৩০ জুলাই ধানের শীষে ভোট প্রদানের জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান বুলবুল।
গণসংযোগকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেন, নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ধানের শীষের ভোট আরো বেড়ে যাচ্ছে। ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, রাজশাহীর বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। দলের মধ্যে কোনো প্রকার মনোমালিন্য নেই। মহানগর, জেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা দিনরাত ধানের শীষের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সব কাজকর্ম পরিহার করে নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষের জন্য মাঠে নেমেছে। চারদিকে ধানের শীষের বিজয়ের সুর শুনে সরকারদলীয় প্রার্থী ও নেতারা ভীত হয়ে পড়েছে। এখন তারা প্রতিহিংসার পথ বেছে নিচ্ছে। বিএনপির নামে মিথ্যাচার করছে। আওয়ামী লীগের মিথ্যাচার ও প্রলোভনে পরে নগরীর উন্নয়ন ব্যাহত করতে নৌকাকে না বলার আহ্বান জানান তিনি।
মিনু আরো বলেন, বিএনপির গণজোয়ার ও গণমিছিল দেখে জনগণের মধ্যে আরো সাহস সঞ্চার হয়েছে। তারা এখন আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ বিভাগের অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের আর ভয় পায় না। সরকারি দল নির্বাচনের দিন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে জনগণ সমুচিত জবাব দেবে বলে জানান তিনি। নির্বাচনী প্রচারণা এবং নির্বাচনের দিন সাহসিকতার সঙ্গে সব বাধা মোকাবিলা করার জন্য নেতাকর্মী ও পোলিং এজেন্টদের পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। সেইসঙ্গে সাধারণ ভোটারদের নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের ভোটের অধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান মিনু।
সকালে নগরীর বিনোদপুর বাজার থেকে শুরু করে বুধপাড়া, মির্জাপুর ও মোহনপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সাধারণ ভোটারা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং ধানের শীষে ভোট দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার অঙ্গীকার করেন তাঁরা।
বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে গণসংযোগে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু, মতিহার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, মতিহার থানা নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রইসুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ নাজমুল হক, উত্তরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী ও রফিকুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিন আহম্মেদ, রাবি ছাত্রদলের সভাপতি ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানসহ অত্র ওয়ার্ডের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।