ভোলায় চিরনিদ্রায় শায়িত রাজীব মীর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/07/23/photo-1532329559.jpg)
চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, লেখক রাজীব মীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় ভোলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে রাজীব মীরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
পুরো নাম মীর মোশারেফ হোসেন হলেও তিনি রাজীব মীর নামে পরিচিত ছিলেন।
রাজীব মীরের পক্ষে তাঁর বন্ধু এ জে এম ছালেক (রওনক) ক্ষমা চেয়ে নেন এবং যাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
জানাজা শেষে রাজীব মীরের লাশ নেওয়া হয় তাঁর গ্রামের বাড়ি পরানগঞ্জ মীরা বাড়িতে। সেখানে হাই স্কুল মাঠে শেষবারের মতো জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
রাজীব মীরের বন্ধু কণ্ঠশিল্পী সোহাগ বলেন, ‘রাজীব ছিলেন সবচেয়ে শান্ত প্রকৃতির মানুষ। সব সময় মানুষের উপকার করেছেন। ওর চিকিৎসার জন্য যাঁরা সাহায্য করেছেন, তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে ভারতের চেন্নাইয়ে গ্লিনিগলস গ্লোবাল হেলথ সিটি হাসপাতালে রাজীব মীরের মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাজীব মীর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। এ জন্য ৯০ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। এই অর্থের বেশির ভাগ রাজীবের বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেন। লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয় অর্থ হাসপাতালে জমাও দেওয়া হয়েছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাজীবের অস্ত্রোপচারের জন্য গত শনিবার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। ফলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেন রাজীব মীর। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করতেন। সমাজকর্মী ও গবেষক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।