নেশায় বাধা, অটোরিকশাচালককে পুড়িয়ে হত্যা!

নেশা সেবন ও অসামাজিক কাজে বাধা দেওয়ায় কিশোরগঞ্জে এক অটোরিকশাচালককে গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর থানার যশোদল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
urgentPhoto
নির্মম এ ঘটনায় নিহত চালকের নাম শামীম হোসেন (১৮)। তিনি একই ইউনিয়নের আমাটি শিবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। শামীমের বাবা মানসিকভাবে অপ্রকৃতিস্থ বলে জানিয়েছেন নিহতের চাচা জুবায়ের আলম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত শামীমের বাড়ির পাশে নিন্দু মিয়ার ফিশারিতে বসে একই গ্রামের কয়েকজন যুবক নিয়মিত নেশাদ্রব্য গ্রহণসহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিল। শামীম তাদের নিষেধ করায় এ নিয়ে প্রায়ই ওই যুবকদের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ওই যুবকদের সঙ্গে শামীমের হাতাহাতিও হয়।
এর পর বৃহস্পতিবার রাতে শামীম ওই এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নিন্দু মিয়ার ফিশারিতে ডেকে নিয়ে প্রথমে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এর পর তাঁর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় শামীমের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধারের আগেই প্রায় পুরো শরীর পুড়ে যায়। এর পর তাঁকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শামীম। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা শামীমের চাচা জুবায়ের আলম এনটিভি অনলাইনকে মৃত্যুর খবরটি জানান।
এর আগে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আহমেদ মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, আহত শামীমের শরীরের ৯০ শতাংশ অংশ পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা খুবই সংকটজনক।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন রাত দেড়টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠনো হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওসি।