ভ্যাট আলটিমেটলি শিক্ষার্থীদের ওপরই বর্তাবে : অর্থমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/11/photo-1441984707.jpg)
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ‘আলটিমেটলি (শেষ পর্যন্ত)’ শিক্ষার্থীদের ওপরই বর্তাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভ্যাট দেওয়ার ব্যাপারে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, সে ক্ষেত্রে সরকার ‘সমঝোতা’ করেছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডেইলি স্টারের উদ্যোগে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি-ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্জনের একমাত্র পথ, তাহলে শেষপর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ঘাড়েই এ ভ্যাট বর্তাবে কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো বললামই, আলটিমেটলি তাদের (শিক্ষার্থীদের) ওপরই (পড়বে)। এ বছর তো তারা (কর্তৃপক্ষ) কিছুই চার্জ করছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যখন ফিস নির্ধারণ করবে তখন একটা হিসাব নেবে।’
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির ওপর সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করে সরকার। শুরু থেকেই এ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজধানীর আফতাবনগর ও রামপুরা এলাকায় পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে যানজট সৃষ্টি হয়ে গোটা ঢাকা স্থবির হওয়ার উপক্রম হয়। এরই একপর্যায়ে এনবিআর এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, আরোপিত ভ্যাট শিক্ষার্থীদের দিতে হবে না, তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করবে। পরে রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই কথা পুনরোক্তি করেন।
এসব ঘোষণার পরও ভ্যাট কে দেবে এ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। এর মধ্যেই আজ অর্থমন্ত্রী জানালেন, এ প্রজ্ঞাপনের ব্যাপারে সরকার সমঝোতা করেছে এবং ‘আলটিমেটলি’ আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীদের ঘাড়েই বর্তাবে আরোপিত ভ্যাট।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধরে নেই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে তারা বিত্তবান পরিবারের। আমি ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হিসাব কষে দেখেছি, তাদের প্রত্যেকের দৈনিক খরচ (জীবনযাত্রাসহ) এক হাজার টাকা। মাসে প্রত্যেকেই ৩০ হাজার টাকা খরচ করে। আমি সেখান থেকে ৭৫ টাকা চাচ্ছি। এখন তো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সেই টাকা দেবে। ফলে আমি তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না।’
সাড়ে সাত ভাগ ভ্যাটকে ‘নিম্নতম’ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, বিভিন্ন স্থানে ১৫ ভাগ ভ্যাট আদায় করা হয়।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেপেলেদের আপত্তির কারণে এখানে সমঝোতা করা হয়েছে।’