ঝিনাইদহে ব্যবসায়ী হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী হাজি আবদুল লতিফ হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মোস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেট ও কামান্না গ্রামের শামু আমমেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভাটইবাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী হাজি আবদুল লতিফ মোটরসাইকেল চড়ে পাওনাদারদের কাছে টাকা আদায় করতে যান। পথে শৈলকুপা উপজেলা শহরের কবিরপুর অগ্রণী ব্যাংকের সামনে আসামিরা তাকে অপহরণ করে বগুড়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা দায়েরের করার পুলিশ মোস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেটকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২০১০ সালের ৯ এপ্রিল নিহতের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০১১ সালের ১১ মে চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার প্রধান আসামি শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের সুকনাল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অপরজন মো. রাকু পলাতক। তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, দণ্ডিত আসামি মোস্তাকুর রহমান ওরফে ব্যানেটের কাছে নিহত ব্যবসায়ী হাজি আবদুল লতিফ তিন লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা পাওনা ছিলেন। এই টাকা লেনদেন নিয়ে খুনের ঘটনাটি ঘটে।