শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই গ্রেনেড হামলা : শিল্পমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/08/21/photo-1534857843.jpg)
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীরা রক্ষা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চেয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলেই আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। তাই শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করেই গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘গ্রেনেড বিস্ফোরণে আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হলেও আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান। গ্রেনেড হামলাকারীরা কেউ রক্ষা পাবে না, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
‘এখনও ষড়যন্ত্র চলছে’ উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড এবং গ্রেনেড হামলা সবকিছুই একসূত্রে গাঁথা। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা চেয়েছিল গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে নস্যাৎ করে দিতে। ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি বলে এখনও তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র ব্যক্তি হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, এটা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।’
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই দেশের ১৬ কোটি মানুষ মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা পেয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করেছে। শেখ হাসিনা যেসব উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে।’
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্ম সম্পাদক মোবারক হোসেন মল্লিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, অ্যাডভোকেট আব্দুল মন্নান রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ কর্মকার প্রমুখ।