হবিগঞ্জের তিন ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২৯ সেপ্টেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধে হবিগঞ্জের দুই সহোদর মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়া এবং তাঁদের চাচাতো ভাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আদেশ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
আদালতে মামলার শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন মো. মাসুদ রানা।
এর আগে গত ৩১ মে দুই আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মহিবুর ও মুজিবুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে গত ২৮ এপ্রিল শেষ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ওই দিনই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ী এলাকা থেকে খাগাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান বড় মিয়া (৭০) ও তাঁর ছোট ভাই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৭ মে রাজ্জাককেও এ মামলার আসামি করে তিন আসামির বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। পরে ১৯ মে মৌলভীবাজার জেলা সদরের আতাননগরীর পাহাড় থেকে রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৯ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকল মিয়ার স্ত্রী ভিংরাজ বিবি হবিগঞ্জের আমলি আদালত ৪-এর বিচারক রাজীব কুমার বিশ্বাসের আদালতে মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে বানিয়াচং থানা পুলিশকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি আদালত থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।