বণিক বার্তার কর্মকর্তার স্যুটকেসবন্দি লাশ উদ্ধার
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি ফ্ল্যাট থেকে দৈনিক বণিক বার্তার বিপণন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলমের (৩৮) স্যুটকেসবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে খিলক্ষেতের বোর্ডগার্ড নামাপাড়া এলাকায় লেহাজ উদ্দিনের বাসভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নিহতের খালাতো ভাই এ এস এম ফয়সালসহ (২৭) চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন নাজমুল হাসান রাকিব (২৩), রায়হান সারওয়ার (২১) ও ফাহিম হাসান খান (২৫)। তাঁরা ওই বাড়ির পাঁচতলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেক্সোনা পারভীন বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেছেন।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি মেহেরপুরে। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রাজধানীর তেজকুনিপাড়ায় থাকতেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল হক জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার দিকে ফয়সাল ফোন করে বণিক বার্তার অফিস থেকে ডেকে খিলক্ষেতের বোর্ডগার্ড নামাপাড়া এলাকায় লেহাজ উদ্দিনের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে হত্যা করে লাশ স্যুটকেসে আটকে রাখা হয়। লাশ সরাতে না পেরে তাঁরা ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বাড়ির লোকজন দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর অভিযান চালিয়ে ধামরাইয়ে দাদাবাড়ি থেকে ফয়সালকে ও সহযোগী রায়হানকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে যাত্রাবাড়ী থেকে রাকিব ও কল্যাণপুর থেকে ফাহিমকে আটক করা হয়।
ওসি বলেন, লাশটি দেখে মনে হচ্ছে, নিখোঁজের দিনই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম গত ১ সেপ্টেম্বর বণিক বার্তার বিজ্ঞাপন বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন। তার আগে দীর্ঘদিন তিনি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।