প্রাইভেট পড়তে গিয়ে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রী নিহত

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাঁইহাটিতে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর দগ্ধ হয়েছে আরো দুজন। তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েক দফা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে তারা নিকটস্থ একটি বাঁশঝাড়ের নিচে আশ্রয় নিয়েছিল।
নিহত দুই ছাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছে সাঁইহাটি গ্রামের বেল্লাল খাঁর মেয়ে বিলকিস খাতুন ও চাম্পাফুল গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে মুসলিমা খাতুন ময়না। গুরুতর দগ্ধ তেঁতুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাথী সুলতানা ও বালাপোতা গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে রুবিনা আকতার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হতাহতরা সবাই স্থানীয় চাম্পাফুল এপিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় অভিভাবক মুরারী মোহন জানান, তাঁরা তাঁদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক জগন্নাথ স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। গ্রামের অরুণ মেম্বারের বাড়ির ধারে আসতেই বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় দফায় দফায় বজ্রপাত। বজ্রপাতে চার বান্ধবী আহত হতেই গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মারা যায় বিলকিস। পরে তাদের নেওয়া হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। সেখানে সন্ধ্যায় মারা যায় মুসলিমা ময়না। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিকেলে একই সময় জেলার আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ধ্যা গ্রামে বজ্রপাতে মাছের ঘের কর্মচারী তাছের উদ্দিন (৪৫) নিহত হয়েছেন। আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।