যা চাইবেন তার চেয়ে বেশি পাবেন : নড়িয়ায় ত্রাণমন্ত্রী
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মূলফৎগঞ্জ ও বাঁশতলার পদ্মার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নড়িয়া উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে পদ্মা নদীর ভাঙনে পাঁচ হাজার ৮১ ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি চাল, এক কেজি লবণ, এক কেজি ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি চিড়া, এক কেজি বিস্কুট, এক লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম মুড়ি, ১২টি দিয়াশলাইয়ের প্যাকেট ও ১২টি করে মোমবাতি বিতরণ করেন মন্ত্রী।
এ সময় ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে নড়িয়ায় নদীর ভাঙনে প্রায় ছয় হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। নড়িয়ার মূলফৎগঞ্জ, কেদারপুর, নড়িয়া পৌরসভা এলাকার মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে; যা পূরণ করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদীগর্ভে বিলীন হওয়া একটি পরিবারও যেন খাবারের কষ্ট না পায়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে খাদ্যের কোনো অভাব নেই। যা চাইবেন তার চেয়ে বেশি পাবেন। তবে চাইতে হবে। যা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী তার চেয়ে দ্বিগুণ দেবেন। তবে ত্রাণ বিতরণে যেন কোনো ত্রুটি না হয় সে ব্যাপারেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ভাঙনকবলিত মানুষের জন্য আগামী চার মাস প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া গৃহহীন পরিবারগুলোর ঘর নির্মাণের জন্য দুই কোটি টাকা, পাঁচ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেন মন্ত্রী।
এ সময় শরীয়তপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) শওকত আলী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাভানা আক্তার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাকাব্বীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আল মামুন সিকদার, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন, নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. সুলতান মাহমুদ (সীমন) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।